Monday, January 29, 2018

আমার মুহুরী


অভীক কুমার দে
....................


ছোটবেলা থেকেই মুহুরীকে নির্ভয় জেনেছি

সব ঢেউ পাড়ের কাছে মাথা নত করে গেলে

বুকের ব্যাকরণে সাগর খোঁজ,

বাংলার শব্দ শুনতে শুনতে মোহনার দিকে

সুখের ধারাপাত।

জেনেছি--

সুখের ঢেউ চেনা হলে বাষ্পছন্দে কবিতার সুর।



আসলে ছোটবেলার সব অনুভূতি ছোট হয় বয়সের সাথে

সাথে মুহুরীও অচেনা হয়,

জানা হয়ে যায় সাগরের অবতল বুক

জল চায় সারাজীবন

সব নদী গিলে খায়।



আমার মুহুরীকে এখন মনে হয় না নির্ভীক

অনেক গভীরে গভীরতা।

বর্ষা আসে বছর বছর

ভয় কাটে না,

বরং লুকোতে দেখি ফসলের ভিড়ে

নাহয় নীরবেই বয়ে যায় এবং সমর্পণ।





মাটিরঙ




চিত্রকর তুলিকে বলিস

সব রঙ ফুরিয়ে গেলে

কিছু রঙ ধার নিতে

নাহয় নরম ছোঁয়ায় মুছে দিতে

জমেছে যা বৃষ্টিমেঘের অবশেষ

জানি, অচেনা নদীর চোরা স্রোতের বুক

পাথরে ঢেকেছে মাটি,

ভেতরে চিৎকার।

কত কী লড়াই সংগ্রাম সংঘাতের পর

আমার অসংখ্য মরদেহ লুকিয়ে আমি

রঙ খুঁজি তোর কাছে।

ত্রিতালের ছন্দ পতন যেদিন

কিছু নোনাজল রেখে যাবো,

চোখের কোলে জমা হবে,

তুলিকে বলিস--

আলোয় টেনে নিতে

যেখানে পাথর নয় মাটি আর মাটি,

সব রঙ ফুরিয়ে গেলে

অচেনা নদীর চেনা হবে মাটিরঙ।

চিত্র ঋণ : কোরি হেলফোর্ড 

No comments:

Post a Comment