জঙ্গলমহল, ঈশ্বর ও কলকাতা
বিশ্বজিৎ লায়েক
উৎসর্গ : জঙ্গলমহলের বন্ধুদের
১
খেজুরপাতার চাটাইয়ে বসে চুটি ধরাই
পাশে কাঁসাইনদী, ওপারে অবসন্ন শাল জঙ্গলমহল
নডি দিয়েছে ঘর, গেরস্থালি, ছেলেপুলান
সহায় মিলনের পরাগ
সন্ধ্যার আদর নিয়ে ঘুমোতে চলল পৃথিবী
মাটিতে তার সবুজ শস্য
নদী, নারী, ঘর
জীবনে আগুন দিতে দিতে
আকাশে ফুটছে অবশিষ্ট তারা
২
মিছিমিছি রাগ কর
গরীব ছোকরার বুকে টিলহা-পাহাড় জ্বলে
বটতলায় সিঁদুর লেপা পাথর
শিবঠাকুরের দেশ নয় গো – গরাম্থান
মুরগা বলি দিয়েছিল
তোর আমার গাঁইয়ের লোক
এর মাটি, পৃথিবী, মানুষের এক রা
আমাদের অভাবী সংসার যেমন ভাদ্রমাস
কুলহিমুড়ায় গেরামঠাকুর
ভক্তিভরে গড় কর বউ
দেখবি আকাশে উড়ছে জোড়া শালিক
ক্ষেত ভর্তি ধান, আলু, কুথ্থির ডাল
বাটা ভরা পান
পেটেও ফলেছে সোনা
৩
আদিবাসী গাঁয়ের মতো মা
শালিধানের চিড়া কুটছে কালা পিসিমনি
বিরিক্ষেতে চাঁদ উঠেছে
লাউমাচায় পূর্ণিমার আলো
তুলসিথানে মেয়েদের উলু
চাঁদের শব্দ পৃথিবী শোনে না
পৃথিবীর শব্দ চাঁদ
৪
গোবর দিয়ে ছঁচ দেওয়া মাটিতে বসে
এক একটা সফল মুড়ি
অসফল হাতে কুড়িয়ে মুখে পুরছি
তেত্রিশ বছর আগে
খামারে কাঠের চুলায়
ভোরবেলা তুষের আগুনে মা
ধানসেদ্ধ করত মাটির হাঁড়িতে
মা এখনও ভোরবেলা ওঠে মাড়ুলি দেয়
আমি ঘুম থেকে উঠে চা খাই
আজ রোববার মা বলছে –
শুভকে দেখতে যাবি না!
বিশ্বজিৎ লায়েক
উৎসর্গ : জঙ্গলমহলের বন্ধুদের
১
খেজুরপাতার চাটাইয়ে বসে চুটি ধরাই
পাশে কাঁসাইনদী, ওপারে অবসন্ন শাল জঙ্গলমহল
নডি দিয়েছে ঘর, গেরস্থালি, ছেলেপুলান
সহায় মিলনের পরাগ
সন্ধ্যার আদর নিয়ে ঘুমোতে চলল পৃথিবী
মাটিতে তার সবুজ শস্য
নদী, নারী, ঘর
জীবনে আগুন দিতে দিতে
আকাশে ফুটছে অবশিষ্ট তারা
২
মিছিমিছি রাগ কর
গরীব ছোকরার বুকে টিলহা-পাহাড় জ্বলে
বটতলায় সিঁদুর লেপা পাথর
শিবঠাকুরের দেশ নয় গো – গরাম্থান
মুরগা বলি দিয়েছিল
তোর আমার গাঁইয়ের লোক
এর মাটি, পৃথিবী, মানুষের এক রা
আমাদের অভাবী সংসার যেমন ভাদ্রমাস
কুলহিমুড়ায় গেরামঠাকুর
ভক্তিভরে গড় কর বউ
দেখবি আকাশে উড়ছে জোড়া শালিক
ক্ষেত ভর্তি ধান, আলু, কুথ্থির ডাল
বাটা ভরা পান
পেটেও ফলেছে সোনা
৩
আদিবাসী গাঁয়ের মতো মা
শালিধানের চিড়া কুটছে কালা পিসিমনি
বিরিক্ষেতে চাঁদ উঠেছে
লাউমাচায় পূর্ণিমার আলো
তুলসিথানে মেয়েদের উলু
চাঁদের শব্দ পৃথিবী শোনে না
পৃথিবীর শব্দ চাঁদ
৪
গোবর দিয়ে ছঁচ দেওয়া মাটিতে বসে
এক একটা সফল মুড়ি
অসফল হাতে কুড়িয়ে মুখে পুরছি
তেত্রিশ বছর আগে
খামারে কাঠের চুলায়
ভোরবেলা তুষের আগুনে মা
ধানসেদ্ধ করত মাটির হাঁড়িতে
মা এখনও ভোরবেলা ওঠে মাড়ুলি দেয়
আমি ঘুম থেকে উঠে চা খাই
আজ রোববার মা বলছে –
শুভকে দেখতে যাবি না!
অপূর্ব ।
ReplyDelete