পিয়াল রায়
১) স্পর্ধা
এ কথা হলফ করে বলতে পারি
যে ফুল ঈশ্বরের পা ছুঁয়ে ছিল
গ্রীষ্মের তাপে যাকে মুহ্যমান দেখছো তুমি
এখনো সে পা ছুঁয়েই আছে
আমার ঘর্মাপ্লুত হাত
জমিকে ফলবতী করেনি কি ?
বদলে দেয় নি কি কপালখেকোদের জীবন বারবার?
তবু বহুরূপ প্রয়াস আমাকে মৃত ঘোষণার !
এসব ভেঙে ফেলে
আমাদের হাতে হাত, চোখে চোখ কঠিন শপথ
তোমার বিকলাঙ্গ ছবি ছুঁড়ে ফেলে
প্রকাশ্যে রূপ নেবে নরকের জঞ্জাল
আমাদের আধপেটা মুখ
জীবিত জগতের শান্ত অহংকার
২) এক একদিন
একটু সরে দাঁড়াই
রাত শিখিয়ে দেয় নিষিদ্ধ ইশারা থেকে
শেষবিন্দুর দিকে যাত্রা
ঠিক ঘুমিয়ে পড়ার মুখেই
গল্প থেকে, আবহ থেকে, প্রতিধ্বনিত
আকাশের মহড়া থেকে
একটা দুটো দরজা বন্ধ হতে থাকে
ঘুমের অনেক ভিতরে বেজে চলে বিদায়ী
সানাই
এক একদিন ইচ্ছে করে হাত পাতি
যদি মিলে যায় দৈবের বশে
কোনো ঘরানাশ্রয়ী কৌশল
চাঁদ থেকে চাঁদে উড়ে যাবার
এক একদিন শুশ্রূষার পথে ওড়ে দূরাগত বাঁশি
ঘন শীতের রাতেও
বর্ষা এসে ভাসিয়ে দিয়ে যায় সব
৩) সময়
যেখানে যত ঘাসের স্পন্দন
যেখানে যত চুপ
শুষে নিতে পারি
বিলিয়ে দিতে পারি প্রেম ও
তার বাহ্যরসকলি
কপাটহীন প্রশস্ত স্রোতে
কিন্তু সেসব কিছু নয়
এত যে আদর সবটাই বৃথা
শুধুমাত্র মৃতের নির্মম কবিতা
শূণ্য থেকে জন্মে শূণ্যতার দিকে যায়
৪) ঝড়ের কবিতা
হঠাৎ সে ঝাঁপিয়ে পড়ে
ক্ষীপ্ত হয়ে
ঝড়ে ডুবিয়ে দেয় নাক
ভেঙে পড়া গাছগুলোর হাত ধরে টানাটানি করে
কথা বলে সোজাসাপটা
অথচ ভালো করেই জানে
কবিতাই ঝড়ের একমাত্র উপশম
দূরে শ্মশানে কারা উদ্দাম তোলে নৃত্য
খোল করতাল মোরগের ঝুঁটি
নিভিয়ে ফেলে সমস্ত চিতা
ভীষণ কালো ছড়িয়ে দেয় ঝড়
প্রতিবাদ কাঁপতে থাকে তার
কর্কশ গলায়
অন্ধকার আর জোয়ারের মাঝে
দুনিয়া ঝনঝন করে ওঠে
১) স্পর্ধা
এ কথা হলফ করে বলতে পারি
যে ফুল ঈশ্বরের পা ছুঁয়ে ছিল
গ্রীষ্মের তাপে যাকে মুহ্যমান দেখছো তুমি
এখনো সে পা ছুঁয়েই আছে
আমার ঘর্মাপ্লুত হাত
জমিকে ফলবতী করেনি কি ?
বদলে দেয় নি কি কপালখেকোদের জীবন বারবার?
তবু বহুরূপ প্রয়াস আমাকে মৃত ঘোষণার !
এসব ভেঙে ফেলে
আমাদের হাতে হাত, চোখে চোখ কঠিন শপথ
তোমার বিকলাঙ্গ ছবি ছুঁড়ে ফেলে
প্রকাশ্যে রূপ নেবে নরকের জঞ্জাল
আমাদের আধপেটা মুখ
জীবিত জগতের শান্ত অহংকার
২) এক একদিন
একটু সরে দাঁড়াই
রাত শিখিয়ে দেয় নিষিদ্ধ ইশারা থেকে
শেষবিন্দুর দিকে যাত্রা
ঠিক ঘুমিয়ে পড়ার মুখেই
গল্প থেকে, আবহ থেকে, প্রতিধ্বনিত
আকাশের মহড়া থেকে
একটা দুটো দরজা বন্ধ হতে থাকে
ঘুমের অনেক ভিতরে বেজে চলে বিদায়ী
সানাই
এক একদিন ইচ্ছে করে হাত পাতি
যদি মিলে যায় দৈবের বশে
কোনো ঘরানাশ্রয়ী কৌশল
চাঁদ থেকে চাঁদে উড়ে যাবার
এক একদিন শুশ্রূষার পথে ওড়ে দূরাগত বাঁশি
ঘন শীতের রাতেও
বর্ষা এসে ভাসিয়ে দিয়ে যায় সব
৩) সময়
যেখানে যত ঘাসের স্পন্দন
যেখানে যত চুপ
শুষে নিতে পারি
বিলিয়ে দিতে পারি প্রেম ও
তার বাহ্যরসকলি
কপাটহীন প্রশস্ত স্রোতে
কিন্তু সেসব কিছু নয়
এত যে আদর সবটাই বৃথা
শুধুমাত্র মৃতের নির্মম কবিতা
শূণ্য থেকে জন্মে শূণ্যতার দিকে যায়
৪) ঝড়ের কবিতা
হঠাৎ সে ঝাঁপিয়ে পড়ে
ক্ষীপ্ত হয়ে
ঝড়ে ডুবিয়ে দেয় নাক
ভেঙে পড়া গাছগুলোর হাত ধরে টানাটানি করে
কথা বলে সোজাসাপটা
অথচ ভালো করেই জানে
কবিতাই ঝড়ের একমাত্র উপশম
দূরে শ্মশানে কারা উদ্দাম তোলে নৃত্য
খোল করতাল মোরগের ঝুঁটি
নিভিয়ে ফেলে সমস্ত চিতা
ভীষণ কালো ছড়িয়ে দেয় ঝড়
প্রতিবাদ কাঁপতে থাকে তার
কর্কশ গলায়
অন্ধকার আর জোয়ারের মাঝে
দুনিয়া ঝনঝন করে ওঠে
No comments:
Post a Comment