কৌস্তুভি শ্রীর কবিতা
১।
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে।
বয়সের ঘোলা পুকুরের তলা আর কোনদিন দেখা যাবেনা।
তোমাদের এলবাম থেকে এলোমেলো খসে পড়বে
দুএকটা পরিণত ছবি
ভুল শুধরে আবার উঠে পড়বে তরুণ খাতায়।
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে।
একটা চমৎকার বৃষ্টিসন্ধ্যায় তোমাদের গরম কাপ থেকে
সুচারু উড়ে যাবো
অথবা একেবারেই বেমক্কা আমাকে মনে পড়ে ফেঁসে যাবে।
কিছু সুগন্ধ কিছু বুনো, থেকে যাবে কোথায় কোথায়!
কিছু ভুল দেখা মুখ এসে যাবে!
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে।
আমার শেষ লিখা খুঁজে পাবে সহজ ভাঁজে।
আমার প্রথম, হারিয়ে যাবে!
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে!
২।
আবার যাব
বুকে গিয়ে বিঁধে ছিল তারার বুলেট;
ঝাঁঝরা আকাশের নিচে শুয়ে থাকবো বলে গিয়ে দেখি
আমার আগে একটা একাকী মাঠ সেখানে শুয়ে আছে।
ঢেউ এর ছবিআঁকা পুকুর পাড়ে
গালে হাত রেখে বসে থাকবো সারাবিকাল।
অথচ একটা বিষণ্ণ তমাল গাছ আমার আগেই সেখানে একই ভঙ্গিমায় বসে....
একা শূন্য রাতে কান্না কেমন কণ্ঠে জড়ো হয়,
শুনি একটা আহত ঝিঁঝিঁ আমার আগে থেকেই একটানা আর্তনাদ করে যাচ্ছে।
বৃষ্টি থেমে গেছে, জানি আমাকে ভিজে পিচরাস্তায় এলোমেলো পায়ের পাতা ফেলতে দিবেনা,
আমার আগেই নিজেদের এলোমেলো ছড়িয়ে আছে জেদি দোপাটির দল।
ফিরে এসেছি।
অথচ, না চেয়ে ফিরে আসাকে ফেরা বলবো কেন?
আমি আবার যাব! আকাশের বুকের কাছে, যেখানে কান্না জমা হয়, মাঝরাতে ঝিঁঝিঁর সাথে পিচরাস্তায়!
আমি আবার যাব!
৩।
কোথাকার বাতাস আসে
আগের রাতে আজকের সকাল হারিয়েছি
কোথাকার বাতাস আসে!
গতকাল খুলে রাখা সম্পর্কগুলো পরা হলো না!
কোথাকার বাতাস আসে!
আরেকটু জোরে ছুটতে পারলে হতো!
বলা থেকে না বলার দূরত্ব মাপা গেল না!
শুধুমাত্র বুকে নিলেই দৈর্ঘ্য প্রস্থে কমে মানুষ
শুধুমাত্র মৃতদেহ মিশলেই পবিত্র হয় মাটি
কোথাকার বাতাস আসে!
১।
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে।
বয়সের ঘোলা পুকুরের তলা আর কোনদিন দেখা যাবেনা।
তোমাদের এলবাম থেকে এলোমেলো খসে পড়বে
দুএকটা পরিণত ছবি
ভুল শুধরে আবার উঠে পড়বে তরুণ খাতায়।
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে।
একটা চমৎকার বৃষ্টিসন্ধ্যায় তোমাদের গরম কাপ থেকে
সুচারু উড়ে যাবো
অথবা একেবারেই বেমক্কা আমাকে মনে পড়ে ফেঁসে যাবে।
কিছু সুগন্ধ কিছু বুনো, থেকে যাবে কোথায় কোথায়!
কিছু ভুল দেখা মুখ এসে যাবে!
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে।
আমার শেষ লিখা খুঁজে পাবে সহজ ভাঁজে।
আমার প্রথম, হারিয়ে যাবে!
তোমাদের মৃতবন্ধু হতে ইচ্ছা করে!
২।
আবার যাব
বুকে গিয়ে বিঁধে ছিল তারার বুলেট;
ঝাঁঝরা আকাশের নিচে শুয়ে থাকবো বলে গিয়ে দেখি
আমার আগে একটা একাকী মাঠ সেখানে শুয়ে আছে।
ঢেউ এর ছবিআঁকা পুকুর পাড়ে
গালে হাত রেখে বসে থাকবো সারাবিকাল।
অথচ একটা বিষণ্ণ তমাল গাছ আমার আগেই সেখানে একই ভঙ্গিমায় বসে....
একা শূন্য রাতে কান্না কেমন কণ্ঠে জড়ো হয়,
শুনি একটা আহত ঝিঁঝিঁ আমার আগে থেকেই একটানা আর্তনাদ করে যাচ্ছে।
বৃষ্টি থেমে গেছে, জানি আমাকে ভিজে পিচরাস্তায় এলোমেলো পায়ের পাতা ফেলতে দিবেনা,
আমার আগেই নিজেদের এলোমেলো ছড়িয়ে আছে জেদি দোপাটির দল।
ফিরে এসেছি।
অথচ, না চেয়ে ফিরে আসাকে ফেরা বলবো কেন?
আমি আবার যাব! আকাশের বুকের কাছে, যেখানে কান্না জমা হয়, মাঝরাতে ঝিঁঝিঁর সাথে পিচরাস্তায়!
আমি আবার যাব!
৩।
কোথাকার বাতাস আসে
আগের রাতে আজকের সকাল হারিয়েছি
কোথাকার বাতাস আসে!
গতকাল খুলে রাখা সম্পর্কগুলো পরা হলো না!
কোথাকার বাতাস আসে!
আরেকটু জোরে ছুটতে পারলে হতো!
বলা থেকে না বলার দূরত্ব মাপা গেল না!
শুধুমাত্র বুকে নিলেই দৈর্ঘ্য প্রস্থে কমে মানুষ
শুধুমাত্র মৃতদেহ মিশলেই পবিত্র হয় মাটি
কোথাকার বাতাস আসে!
No comments:
Post a Comment