কুমারেশ তেওয়ারী-র কবিতা
~~~~~~~~~~~~~~~~~
রোদ
বাইরে বেরোবো বলে প্রস্তুত হয়েছি
অথচ কোথাও খুঁজে পাচ্ছিনা আমার জোড়া পা
টেবিল থেকে গড়িয়ে নেমে আসছে গ্লোব
যেন চাইছে তাকেও সঙ্গে নেওয়া হয়
আর আমি জানিনা উত্তরমেরুতে সাদা ভালুকেরা
বরফের নীচে থাকা শিলমাছেদের
এবছর ঠিকঠাক নখে গাঁথতে পারবে কিনা
জানিনা স্যালমন মাছেরা স্রোতের বিপরীতে এসে
যখন রেখে যাবে তাদের আগামী প্রজন্ম
তখন আমার গোয়ালের গাভিন গোরুটিও
একটা সাদা চাঁদ পাড়বে কি স্যাঁতসেঁতে আঁধার গোয়ালে
বাইরে বেরোবো বলে প্রস্তুত হয়েছি
অথচ কেবলই মনে পড়ে যাচ্ছে
গোগ্রাসে গিলে খাবার দিনগুলি
কামিনির বৃষ্টি ভেজা দিনে মদোলসা এসে
কীভাবে জড়িয়ে ধরেছিল ঝুলবারান্দার রেলিং
প্রবিষ্ট হওয়াগুলি থেকে কীভাবে উঠে আসতো
নতুন নতুন আবিষ্কার ও অভ্যুত্থান
বাইরে বেরোতে গিয়ে দেখি
জানলা গলে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে কত রোদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিভঙ্গবিনোদ
তোমার বসার ভঙ্গি নিয়ে কিছু বলতে চাইছি
ওভাবে বসোনা ডালপালাহীন গাছ
মেলে ধরো শাখা ও প্রশাখা পাতার বাহার
সুখ পাখি সারি পাখি বিভঙ্গে বসুক এসে
মধুবাতা দিলে আর পাতা নড়ে উঠলে
ঊষাকাল থেকে এক অরবিট
লাফ দিয়ে নেমে এসে জড়িয়ে ধরবে
তোমার বিভঙ্গবিনোদ
অস্তাচল সবারই রয়েছে এবং অমোঘ
তাই বলে এখনই গুটির সন্ধান করোনা
যখন কিছুটা আরও ঢলে পড়বে পশ্চিমা বাতাসের দিকে
আরও কিছু গ্রেসফুল হবে অনিবার্য ঢলনের ভারে
রূপান্তর নিয়ে ভেবো
এখন যে পাখিটি এসেছে খড়কুটো মুখে
তাকে ঠিকঠাক দেখিয়ে দাও ডাল ও নির্মাণ
বৃষ্টি ও রোদও তো সেই কতকাল ধরে
দুই হাতে ভায়োলিন আর রুদ্রবিণা নিয়ে
নির্মাণটি ঠিকঠাক হলে
স্তবের ভেতর থেকে তুলে নেওয়া যায়
নৌকো ও নদীর সেই সনাতন প্লবতার ধ্বনি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পুকুরের কাছে
পুকুরের কাছে এসে প্রতিদিন বসি
দেখি মাছেরা সাঁতার কাটে বিচিত্র ভঙ্গিমা
জলের গভীর ছেড়ে হঠাৎ উপরে এসে
রেখে দিয়ে যায় কত বিভঙ্গবিলাস
তোমরাও কি এভাবে কাটোনা সাঁতার যে যার মতোন
কখনও পাহাড় থেকে দুরন্ত স্লাইডে নেমে আসো নিচে
কখনও উপরে ওঠো রঙ্গিনী-ভঙ্গিনী হয়ে কামকলাময়
তোমাদের বাহুলতা পুষ্পিত বৃক্ষের মতো সুগন্ধ ছড়ায়
কখনও আবার শঙ্খলাগা ভঙ্গিমায় ভীষণ কাতিল
এসব সাঁতার দেখি প্রতিদিন কুবোপাখিপ্রায়
মানতের ঢিল বাঁধে যে হাত সে হাতই আগুন ছড়ায়
~~~~~~~~~~~~~~~~~
রোদ
বাইরে বেরোবো বলে প্রস্তুত হয়েছি
অথচ কোথাও খুঁজে পাচ্ছিনা আমার জোড়া পা
টেবিল থেকে গড়িয়ে নেমে আসছে গ্লোব
যেন চাইছে তাকেও সঙ্গে নেওয়া হয়
আর আমি জানিনা উত্তরমেরুতে সাদা ভালুকেরা
বরফের নীচে থাকা শিলমাছেদের
এবছর ঠিকঠাক নখে গাঁথতে পারবে কিনা
জানিনা স্যালমন মাছেরা স্রোতের বিপরীতে এসে
যখন রেখে যাবে তাদের আগামী প্রজন্ম
তখন আমার গোয়ালের গাভিন গোরুটিও
একটা সাদা চাঁদ পাড়বে কি স্যাঁতসেঁতে আঁধার গোয়ালে
বাইরে বেরোবো বলে প্রস্তুত হয়েছি
অথচ কেবলই মনে পড়ে যাচ্ছে
গোগ্রাসে গিলে খাবার দিনগুলি
কামিনির বৃষ্টি ভেজা দিনে মদোলসা এসে
কীভাবে জড়িয়ে ধরেছিল ঝুলবারান্দার রেলিং
প্রবিষ্ট হওয়াগুলি থেকে কীভাবে উঠে আসতো
নতুন নতুন আবিষ্কার ও অভ্যুত্থান
বাইরে বেরোতে গিয়ে দেখি
জানলা গলে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে কত রোদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিভঙ্গবিনোদ
তোমার বসার ভঙ্গি নিয়ে কিছু বলতে চাইছি
ওভাবে বসোনা ডালপালাহীন গাছ
মেলে ধরো শাখা ও প্রশাখা পাতার বাহার
সুখ পাখি সারি পাখি বিভঙ্গে বসুক এসে
মধুবাতা দিলে আর পাতা নড়ে উঠলে
ঊষাকাল থেকে এক অরবিট
লাফ দিয়ে নেমে এসে জড়িয়ে ধরবে
তোমার বিভঙ্গবিনোদ
অস্তাচল সবারই রয়েছে এবং অমোঘ
তাই বলে এখনই গুটির সন্ধান করোনা
যখন কিছুটা আরও ঢলে পড়বে পশ্চিমা বাতাসের দিকে
আরও কিছু গ্রেসফুল হবে অনিবার্য ঢলনের ভারে
রূপান্তর নিয়ে ভেবো
এখন যে পাখিটি এসেছে খড়কুটো মুখে
তাকে ঠিকঠাক দেখিয়ে দাও ডাল ও নির্মাণ
বৃষ্টি ও রোদও তো সেই কতকাল ধরে
দুই হাতে ভায়োলিন আর রুদ্রবিণা নিয়ে
নির্মাণটি ঠিকঠাক হলে
স্তবের ভেতর থেকে তুলে নেওয়া যায়
নৌকো ও নদীর সেই সনাতন প্লবতার ধ্বনি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পুকুরের কাছে
পুকুরের কাছে এসে প্রতিদিন বসি
দেখি মাছেরা সাঁতার কাটে বিচিত্র ভঙ্গিমা
জলের গভীর ছেড়ে হঠাৎ উপরে এসে
রেখে দিয়ে যায় কত বিভঙ্গবিলাস
তোমরাও কি এভাবে কাটোনা সাঁতার যে যার মতোন
কখনও পাহাড় থেকে দুরন্ত স্লাইডে নেমে আসো নিচে
কখনও উপরে ওঠো রঙ্গিনী-ভঙ্গিনী হয়ে কামকলাময়
তোমাদের বাহুলতা পুষ্পিত বৃক্ষের মতো সুগন্ধ ছড়ায়
কখনও আবার শঙ্খলাগা ভঙ্গিমায় ভীষণ কাতিল
এসব সাঁতার দেখি প্রতিদিন কুবোপাখিপ্রায়
মানতের ঢিল বাঁধে যে হাত সে হাতই আগুন ছড়ায়
সবকটিই ভালো লাগল।
ReplyDelete