Monday, February 26, 2018

কবি সুবীর সরকারের উত্তরজনপদবৃত্তান্ত ও একটি পাঠ প্রতিক্রিয়া : শুভঙ্কর পাল 

সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে রোজ সূর্যি পাটে  চলে যায় । ঘড়ির কাটায় শীতকালে  তখনো পাঁচটা বাজেনি । তবু তাড়া হুড়ো পড়ে যায় নদী তীরে পাথর কুড়ানো সেই মেহনতী মানুষের । এই যেন তাদের নিত্যজীবন । তারা নদীর বুকেই ঘর বাঁধে , বেঁচে থাকে , নদী তাদের আবাল্য সঙ্গী । আবার ভোর না হতেই পাখিদের আগেই ওদের জেগে ওঠা । উত্তরের ওই প্রান্তিক জনমানুষ যেন মাঠে মাঠে লাঙল নিয়ে খেত খামারিতে ব্যাস্ত । মহিষ ও গরুর বাথান থেকে মইষাল ভাই রাতের অবসাদটুকু ঝেড়ে ফেলে কর্মে মন দেন । এই মেহনতী মানুষের দিনলিপি কিম্বা চা বাগিচার ওই  হাড় জিরজিরে জীবনের কোথায় কী সখ, আহ্লাদ, গান, প্রেম , ভালবাসা ও স্বপ্ন জেগে থাকে সেই জীবন আলেখ্যটি যেন গদ্যকার সুবীর সরকার তুলে ধরতে চেয়েছেন তার 'উত্তরজনপদবৃত্তান্ত ' গ্রন্থটিতে । 

এখানে কোন নায়ক একক হয়ে ওঠেনি বরং সমষ্টি জীবন যেন সংক্ষিপ্ত পরিসরে সহজ সরল সাবলীল ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে ।  উত্তর জনপদ বৃত্তান্তে জীবন ও যাপনের যে কোলাজগুলি লেখনীর আঁচড়ে ভাষা রূপ দিয়েছেন সেগুলি ১,২,৩...পর্যায়ক্রমিক সিঁড়ি ভাঙার খেলার মতো  । প্রতিটি সিঁড়িতে পা দিয়েই একটি উত্তরের লোকগান....লোকগান এখানে ভনিতা নয় , যেন অন্দরের কথাগুলোর চুম্বক হয়ে ওঠে । 
           " হাটের মইধ্যে হাট 
            ওরে প্রেম চাঁদের হাট " 
এই গানের মধ্য দিয়েই যেন চরিত্রগুলি হেঁটে যায় । কইকান্ত একটি নামমাত্র -ব্যক্তি হয়েও নৈব্যক্তিক । হেমন্তের নরম রোদ কিম্বা হাটের গমগম তার জীবনকে মাঠঘাট নদী আর হাটের ভূগোলে বেঁধে রাখে । এটাই চরিত্রগুলির মিথ । গদ্যকার তাই মেঠো ইঁদুরের প্রসঙ্গ জুড়ে দেন । আর কুয়াশার কুহেলিকায় কইকান্তর মিলিয়ে যাওয়া যেন  হাট বাজারের ভিড়ে এক একটি কইকান্ত হয়ে ওঠা । কালের প্রবাহে কইকান্ত বুড়িয়ে উঠলেও  তাদের নিত্যদিনের উপলব্ধির জায়গাটি একই থাকে । 

অদ্ভুতভাবে রাধাকান্তও একটি নাম । কাহিনির বয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে ওদের জীবনের বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা ওঠে আসে । রাধাকান্তের কন্যা আলতাশ্বরীর বিয়ে উপলক্ষেই কইকান্তের ধান হাটায় ছুটে আসা । লেখক তাদের জীবনের প্রতিলিপি তুলে ধরতেই যেন দই খোয়ার রাজেন বায়াতির বাড়ির কথা বলেন । দই চূড়া তামুক সেবনের সাথে সাথে জীবনের লেনদেনগুলি যেন মিলিয়ে নিতে চান । 

সিঁড়ি ভেঙে দ্বিতীয় ধাপে পা রেখেই হাতিয়ালি গান -
" ওরে আজার হস্তীক পার করিছুং রে "
এই গান যেন আমাদের হৃদয়ের সামগ্রী করে তোলেন লেখক । যেমন রোদ পড়ে আসা বিকেলে নন্দরানীর অলসতা ভাঙিয়ে জেগে ওঠে ধানের গন্ধ , উঠোন বাগিচা , ঘর বাড়ির প্রসঙ্গ । নন্দরানীর  এই আনমনা উদাসীনতা যেন প্রকৃতিকে , তার সৌন্দর্যকে ঘিরে । ধান ঝাড়ার শব্দ বা শালিখের উড়ে যাবার মধ্য দিয়ে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত নন্দরানী তার জন্মভূমির চিন্তায় , আবাল্য পরিচিত ঘরবাড়ির ছবি নিয়ে , শৈশব নিয়ে মশগুল হয়ে পড়ে । আর দাঁতাল হাতি , মাহুতের কথা কিম্বা রাজবাড়িতে ফেলে আসা  শৈশবের কথা ভাবতে ভাবতে সে যেন আজ উপলব্ধি করে বয়সটা নেহাত কম হোল না । স্মৃতির পাতায় চোখ রেখে তার চোখে জল চলে আসে । গলা ভারী হয়ে এলে ওর কণ্ঠে গান জেগে ওঠে । হাতির গান , মাহুতের গান আর গানের ভিতর জেগে ওঠে তার বাপ , ভাই-এর দেশ । সে যেন দূরের জলাভূমিতে নাইতে থাকা মহিষের হাতছানি লক্ষ্য করে কিন্তু তার পক্ষে আজ সেই জগতে ফেরা হয়ে ওঠে না । ভাবতে ভাবতে সে বোঝে ঘর সংসারের কুড়িটি বছর নেহাত কম নয় । ভরা সংসার সাজিয়ে সে অসম দেশ থেকে এসে উত্তরের জনপদের কইকান্তের যোগ্য সহধর্মীনী হয়ে ওঠে । নন্দরানী সাময়িক অতীতচারিতায় আবেগ বিহ্বল হলেও স্বামীর জোত জমির সমস্ত খেয়াল রাখে । এখানেই নন্দরানী শুধু একক কইকান্তের স্ত্রী না হয়ে উত্তরের জনপদের হাজারো কইকান্তের স্ত্রী হয়ে ওঠে । এখানে নন্দরানীও একটি নামমাত্র -একক চরিত্র নয় ।

গদ্যকার সিঁড়ি ভাঙার খেলার তৃতীয় পর্বে এসে একটি হিমেল হওয়ায় সাথে রাধাকান্তের তালুকে নদীয়ালি অরণ্য জীবনের ভিতর কখন যেন পৌঁছে যান যাপনের এক অপভ্রংশের স্তরে  । গান এখানেও এক নতুন পর্বান্তরের আখ্যান । মেণ্দা বাড়ির বিবাগী গন্ডারের বিরহ যেন লেখক নিজের ভিতর অনুভব করেন । আবার রাধাকান্তর নতুন ধানের খই কেনা বা তাঁতের শাড়ি কেনার ভ্রম কিম্বা বিভ্রমে লেখক যেন নিজের বিরহী প্রিয়ার চিরজাগরুক মুখটিই দেখতে পান । লেখকের ঘোর কাটে তাই রাধাকান্ত ও কইকান্তকে সে হিমেল খোলা বাতাসের ব্যাপ্ত চরাচরে তাদের জীবনকে ছেড়ে দিতে চায় । 

লেখক চরিত্রগুলো সচেতন ভাবেই নামমাত্র রেখেছেন । তাই রাধাকান্ত রাধাকান্ত হয়ে উঠতে পারে না । বরং বিষন্ন সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশার ভিতর অতীতের টুকরোগুলকে জুড়তে থাকে । বারবার দাঁতাল হাতির মাহুতের গল্প শোনানোর মধ্যে একটা গাড়িয়াল জীবনের বিস্তার নরম বাতাসের মতো নেমে আসে । উত্তরের হাটবাজার যেন সেই চিরায়ত জীবনের পরম্পরা সূত্র মেনেই বয়ে চলা নদীর মতো । শুধু বয়সের ভারে জীবনের দীর্ঘতর ছায়ারা কুহক জাগায় । কালের খন্ডে খন্ডে লেখক তার যাপনের ভিতর তাই নৃত্য গীতের প্রসঙ্গ আনেন । এসবই তাদের গ্রাম্য সংস্কৃতির অংশমাত্র । নদী ভাঙনের কথা প্রসঙ্গে লেখক তাদের জীবনের টানাপোড়েনের কথা যেমন বলতে চেয়েছেন তেমনি শীতের পালাগান ও কুশানের গান , ছোকরির নাচের কথা তুলে ধরে তাদের বহুবিচিত্র জীবনচর্যার কথাই বলেছেন । 

দোতারার প্রস্তুতিতে কাঁঠাল কাঠের ব্যবহার তার দৃষ্টি এড়ায়নি । দোতারার টুং টাং বেজে উঠলেই যেন মনটা কেমন উদাসী নদীর মতো বয়ে যেতে চায় । লেখকও সেই বহমান জীবনের কথা বলেন । সোমেশ্বরীর প্রপিতামহের কথা , ডাকাতি পেশার কথা উঠে এসেছে । হরমোহন অবশ্য তার পিতার বিপরীত মেরুতেই অবস্থান করেছে । ধীর স্থির এই  মানুষটি খোল দোতারা বাজাতে বাজাতে কীর্তন গায় । কখনো কখনো বাউলের মতো দেহতত্ব নিয়ে বসে যায় । আসলে লেখকের অন্তরেও যে একটি বাউল সত্তা জেগে আছে চিরকাল সেটা বুঝতে আর বাকি থাকে না । সোমেশ্বরীও তার শৈশবের স্মৃতি হাতরে  হাতরে কখন যেন গেয়ে ওঠে - 
"গাও হেলানি দিয়া নাচরে গোলাপি 
জোর হেলানি দিয়া নাচরে গোলাপি ।"
তার গানের দুলুনি ও নাচের ঝুঁকুনির সাথে লেখক তার দূঃখ বিষাদ অশ্রুজল মিলিয়ে দিয়েছেন । আর সেই সবটুকু নিয়েই সোমেশ্বরীর হেঁসেল ঠেলার গান বাঁধেন লেখক । 

জীবন ও যাপন দুই এর মধ্যে একটি সাঁকো বেঁধে দেন লেখক । তাই কইকান্ত  ও রাধাকান্তের জীবন ছাড়িয়ে উঠে আসে হাটের কথা , কারবারিদের কথা , তাদের ঘরে ফেরার কথা , নদী পারাপারের কথা , গাড়িয়ালের গান গেয়ে পথ পাড়ি দেবার কথা । আর সবকিছু ছাপিয়ে একটি কাঠের দোতারা যেন তাদের দিন যাপনের গানের সুর তুলতে থাকে । 

" ঝিকো ঝিকো কড়ি মন 
আঞ্চলে বান্ধিয়া রে "
সোমেশ্বরীর আল বেয়ে ছুটে চলা , মাঠ ঘাটে , খেতে খামারে -আর এসবের ভিতর রাধাকান্ত যেন হাজারো বছরের প্রত্ন প্রাচীন চোখ নিয়ে প্রেমকে চিরকালীন করে তোলেন ।যেন বনলতা সেনের সেই প্রেমিক পুরুষ ।এই ঘোর , স্বপ্নের মদিরা কেটে গেলে তাকে আবার বাস্তবের চেনা পরিচিত হাটের পথেই পা বাড়াতে হয় । 

বাস্তব জীবনের রূপকার এই লেখকের লেখনীতে তেভাগা আন্দোলনের কথা উঠে এসেছে । কিভাবে জোতদারদের বিরূদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিলো সেই সব কথার মধ্যেই এসে পরে কুষাণের গানের প্রসঙ্গও । আর এভাবেই লেখক তাদের জীবনের নকশিকাঁথা আঁকতে থাকেন । এই রচনা আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে যখন লেখক সোমেশ্বরীর পাঁকঘরের কথা , নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় শিদলশুঁটকি , নাফা শাক এই সব পরিচিত নাম । হাটের গল্পের ভিতর লেখক আলাদা আলাদা গল্প যেন শুনতে পান । আসলে এটা এক বহমান নদী জীবনের মতো । হাট ঘাটের ভিতর যে সংস্কৃতি পালা গান , গীদলের গান সবই যেন রাত পাখিদের মতো মোহিত করে চলা জীবন । মানসাই নদী ও বনপথ পেড়িয়ে বাথানে শৈশবের দিনে ফিরে যেতে চাইলেও তা আর হয়ে ওঠে না । তাদের চোখে ভেসে ওঠে দোনলা বন্দুক , রাজার বেটির গান , পানসি বোঝাই সামগ্রী , জমিদারের ঘোড়া .....আর এই সব স্মৃতির ভিতর রাধাকান্ত ও কইকান্ত আষাঢ়ে জীবনের জলের গভীরতা খুঁজে নেয় ।

" ও কি  ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে 
কুনদিন আসিবেন বন্ধু কয়া  যান কয়া যান রে " 
কইকান্ত শীতের রাতে এই গানের মধ্যে তার প্রিয়জনের খোঁজ করতে থাকেন । সোমেশ্বরীও যেন ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাওয়া ভবনদীর তীরে বসে জীবনের হিসেব মেলাতে থাকে । তার মনে হয় জীবন যেন একটি পর্ব থেকে আর একটি পর্বে উত্তরণের গানমাত্র  । 

উত্তরাঞ্চলের খোলা বাতাসের মায়াময়তায় তারা পিঠে পুলির পার্বণে মাছ শিকারে বেরিয়ে যায় । আর সেই শিকারকে ঘিরে তাদের নাচ গানে প্রকাশ পেতো আমোদ । আষাঢ়ের কালো মেঘ ও বৃষ্টির ভিতর প্রান্তিক জনমানুষ যেন মিথের শিয়রে মাথা রেখেই স্বপ্ন নিয়ে ঘুমিয়ে পরে । একসময় সোমেশ্বরী তার বাল্যসখী জটিলার কথা ভাবতে থাকে । তার স্মৃতিতে ভিড় করে মেজবিলের বিস্তীর্ণ প্রান্তর , বাওকুমটা বাতাসের ভিতর নিরন্তর ছুটে চলা । দেখতে দেখতে হেমন্তের হিমেল বাতাসে দুধালি ধানের পুরুট হয়ে ওঠার গন্ধ মেখে ওঠে । এই স্বপ্ন সুখের ভিতর কোথাও যেন মাহুত বন্ধুর জন্য মায়ার বাঁধন কেঁপে ওঠে । এভাবেই রাধাকান্তদের জীবন ও শূন্যতার দর্শন আঁকা হয় । ব্রতকথা  ও বিভিন্ন লোকাচার ঘিরে থাকে সেই সব  জীবন । 

একসময় দলদলির হাটে  নিরুদ্দেশ হওয়া কুদ্দুস ও ইয়াসিনকে ফিরে আসতে দেখা যায় । কইকান্ত ও রাধাকান্তের কাছে এ যেন এক অদ্ভুত উন্মাদনা জাগানো রাত , যেন টকি দৃশ্য শীত খণ্ড । হ্যারিকেনের আলোয় কুদ্দুস ও ইয়াসিনের ছোকরি সেজে নাচ ও গানের মধ্যে উভয়েই যেন যৌবনের উন্মাদনাকে ফিরে পায় ।  

কুদ্দুস ও ইয়াসিন দীর্ঘ পথ পেড়িয়ে অসমের কোন এক বাথান জীবনের অংশ হয়ে ওঠে । যাযাবরের নেশা পেয়েছিল ওদের দুজনের । তাদের কণ্ঠের সঙ্গীত নিশুতি রাতে মায়ার কাজল এঁকে দেয় । আর টুং টাং দোতারার শব্দে দেখা দিল জীবনের সেই অনন্ত জিজ্ঞাসা - " আচ্ছা , মানুষ বেঁচে থাকে কেন ! আস্ত এক জীবন নিয়ে জনমভর কী করে মানুষ !

দলদলির হাট থেকে ফেরার পথ যেন দীর্ঘতর হয় । তাদের চেতনার জগতেও আলোড়ন ফেলে যায় ইয়াসিন , কুদ্দুসের চুলের পাঁক ধরা , সংসার বাঁধার গল্প কথা , আরও না জানা কত কী ? আর এভাবেই একের পর এক হাটের ভিড়ে তারা মিশে যায় ধুলো মাখা মানুষের জীবনের ভিতর । আর সেখানে প্রতিটি নামকেন্দ্রিক চরিত্রই যেন কোন এক সমষ্টি জীবন ও তার সভ্যতা সংস্কৃতির বার্তাবাহক হয়ে ওঠে । এভাবেই কাল থেকে কালান্তরের উদ্দেশ্যে তাদের যাত্রা । আর লেখক শেষ পর্যন্ত উপলব্ধি করেন জীবন বা গল্পের শেষ বলে কিছু হয়না , বরং প্রতিটি শেষ যেন এক একটি প্রহেলিকার ফাঁদ । আর বাউলের মতো দর্শন নিয়ে তাদের উপলব্ধি - 
" দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে রঙিলা দালানের মাটি 
ও গোঁসাইজি , কোন রঙ্গে "
এযেন অন্তহীন বহমান নদীর মতো যা বহু কণ্ঠের কাকলীতে আঁকা জীবন ।

পাঠ প্রতিক্রিয়া শেষ করে বারবার মনে হয়েছে এই গদ্যগ্রন্থে  কোন চরিত্রই একক স্বরে জীবনের গ্রন্থনাকে তুলে ধরেনি । বরং এই সমষ্টি জীবনে ফুটে উঠেছে তাদের যাবতীয় লোকাচার , পাশাপশি অনুষ্ঠান , রীতি নীতি আর এইসব কিছু ছাপিয়ে সেই সব মানুষের নিত্যদিনের বেঁচে থাকার স্বপ্নগুলি অঙ্কিত হয়েছে গানের কলির সাথে সাথে । উত্তর জনপদের জীবন নিয়ে এমন একটি গ্রন্থ উপহার দেবার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ । ভবিষ্যৎ-এ তার লেখনি থেকে আরও অনেক উৎকৃষ্ট বই আমরা পাবো এই প্রত্যাশা রেখেই আলোচনার ইতি টানলাম । 

উত্তরজনপদবৃত্তান্ত 
সুবীর সরকার 
চিত্রাঙ্গী কর্তৃক প্রকাশিত 
বিনিময় মূল্য -১২০ টাকা  


No comments:

Post a Comment