Wednesday, March 28, 2018


দীর্ঘ লেখা : শুভদীপ রায়
দ্ব্যর্থ ধ্বনি সংযোজন
অথবা একটি লালিত আবেগ
                  

আরো একটি হেমন্ত সংযোজিত হোলো জীবন পাণ্ডুলিপিতে
শৈশবে মা শালুক ফুলের মালা পরিয়ে বলতো--
মাটির দিকে তাকাস বাবু,
আকাশের দিকেও  . . .
তারপর
অক্ষর যত অর্থবহুল হয়ে উঠতে শুরু করলো,
প্রিয় ফুল কলমির বেগুনি আভায় অনুসন্ধানী ছবি আঁকতে শুরু করলাম রঙিন আস্বাদে
অথচ মনে মনে ভাবনা আসে . . .
অমল আলোয় 'গ্রীষ্মের জানলা' সিরিজ থেকে একটি পংক্তিও এবার শোনা হোলো না!
বিনিময় হোলো না কোনো শুভেচ্ছা আলাপ 'অশনি সংকেত' পত্রিকার সম্পাদকের সাথেও!
তারপর . . .
কফিহাউসে এতো জনজোয়ারের মধ্যে প্রতীক্ষা গুণতে গুণতে পেন্ডুলাম শাসাতে থাকে সময়যন্ত্র
আর ঘণ হয়ে ওঠে শ্বাস-প্রশ্বাস
অপেক্ষার টেবিলে শুধু দু'গ্লাস জল
দেখি-- আবেগ ভেসে  উঠছে আপ্লুত ভ্ৰমরচোখে
বুঝি, প্রিয় চুলের ঘ্রাণ নিয়ত কাছে টানে খুব
তার অভিমান বুঝতে অসুবিধা হয়না ইদানিং
তবু ভাষাহীন আত্মীয়তা জুড়ে থাকে প্রমাণ সময়
তারপর ---
হুইসেল বাজতে থাকে লোকাল ট্রেনে
তামিলনাড়ু ফিরতে থাকা বন্ধুজন অপেক্ষার কুয়াশা মাখে ।
ভাবি--
শিল্পী সুজন মহাকাল দাদার শরীর ভালো নেই,
একবার দেখা করা দরকার!
অতঃপর মোহান্ত বাগানে কুসুম কুড়োতে কুড়োতে 
বুক সাধি পানসি ভাসানের প্রাক প্রস্তুতির
অথবা বৈঠার সঞ্চালনে শুনতে পাই চূর্ণী নদীর কুল কুল ধ্বনি,
আর নম্র হয়ে পড়ি
গৌরীতীর্থে বাৎসল্য আশ্রয়ের কাছে,
দেবরানী নিবাসে পিতৃঋণের কাছে,
নির্বাক হয়ে যাই
কানে অনুরণিত হওয়া মিলি দি উচ্চারণের স্রষ্টার কাছে . .
হেমন্তের পোস্টম্যানের  কাছেও খবর নিই প্রবাসী বার্তা প্রাপ্তির।
অথবা ভালোলাগা খোঁজ করি নীলকুঠি মঙ্গলগঞ্জের দিকে নৌকায় ভাসতে ভাসতে ইছামতীর বুকে একতারা হাতে এক আশ্রমিকের বিভাসিত হাসির কাছে,
কখনো শব্দের মান্যতায় বন্দি হয়ে পড়ি
ত্রিপুরার বন্ধুর দেশ গড়ার ভাবনার কাছে, 
চৌকাঠ পেরিয়ে কাব্যের জনকের  দাবির কাছেও,
অথবা একাত্ম হয়ে পড়ি--
ভোরের মন্দিরের রূপকারের কবিতা শুনতে চাওয়া আবেগের কাছে,
অথবা এখন চলতে চলতে সংসারের প্রতিনিধির সহজিয়া কাব্য পাঠের মৃদু চলনের কাছে,
অথবা, নির্জনে হলুদ তোমাকে পড়তে পড়তে সর্ষেক্ষেত উপহার দিতে চাই
লন্ডনের টেমস নদীর তীরে দাঁড়িয়ে থাকা সৃজনবান্ধব শামীম ভাইকে
আবার নীরব হয়ে পড়ি রবীন্দ্র গানে সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে তোলা মলয় হাওয়ায় দুলে ওঠা অকৃত্রিম মেধার মুগ্ধতার কাছে !
শামিয়ানার ছায়ায় অথবা কিন্নর দলের কাছেও রেখে আসি কথার শপথ
অনুভব করি ভট্টাচার্য সন্ধ্যায় চন্দন গন্ধে ভেসে আসছে 'বন্দরের কথাগুলি'
এবং অবশ্যই চাকার ক্রম সঞ্চালনে প্রতিশ্রুতি বুনে রাখি দেবী আরাধ্যার কাছেও. . .
আপনি হয়ত জানতে চাইছেন কেন এই তালিকাভুক্তি দীর্ঘ 
বহর...! 
কারণ এঁরা সকলেই একটি হেমন্ত দিনের সাক্ষী . . . 

3 comments:

  1. বেশ বেশ ভালো ।এই বসন্তও হৈমন্তীকে আপন করে নেবে ।

    ReplyDelete
  2. খুব ভালো লাগল শুভদীপ।

    ReplyDelete