Wednesday, March 28, 2018





■  ভালোবাসা-গাছ ■

   উজান উপাধ্যায়


জলের ওমে ডুবিয়ে রেখেছি স্নেহ।
ভিতরে ভিতরে আধখানা চাঁদ 
আদরে আদরে বুড়ো গাছ ....

ভালোবাসা ভাড়া করা ছায়ায় ছায়ায়,
ওষ্ঠভাঁজে চারখণ্ড অধরা বিভূতি
 মূখোমুখি পেয়ালায় নভোচারী ধোঁয়া..।

বুকের ভিতরে অর্ধনগ্ন নারী,
তালা ভেঙে কাজলের সূক্ষ্ম রেখায়...।

গাছটির ভিতরের শাঁস --
পায়ে পায়ে নেচে চলা মোহনীয় নদী।

সব খসে... আলো খসে ..ঋণ পরিশোধ,
ভালোবাসা গাছ একা --
অধরা নিরোধ ...।

চুম্বন প্রকল্প তার অনন্ত প্রজ্ঞায়....
গেছো প্রেম...
জ্যোতিষ্কের অনাবিল দ্যুতি....
ঋতুস্রাব নাভিগর্ভ পরজন্মে পায়--
চাঁদ -ফুল -নদী -মেয়ে....
আকাশগঙ্গায়----।।



◆ সেই মেয়েদের গপ্পো ◆
     
      


মেয়েদের হাত ও পায়ের শেকল খুলে গেছে।
খবরে প্রকাশ।
এখন রাস্তায় ওরা পুরুষের পাশে পাশে।
এমনকি টপকে টপকে গেছে কখনও কখনও।
খবরে প্রকাশ।
রাষ্ট্রের স্টিয়ারিং ওদের হাতে।
মহাশূন্যে ভেসে গেছে।
ওদের মুক্ত মুখে চোখে বিজয়ের উল্লাস অহরহ।
ওরা রাত করে বাড়ি ফেরে ।আড়চোখে দেখে নিয়ে  ফিসফাস করে হয়তো আধুনিক প্রতিবেশী, কিন্তু সামনে পড়লে কুশল বিনিময় চলে।
এমনকি প্রসংশা সূচক বাক্যও জুটে যায় কিছু।
আদিবাসী, সা‍ঁওতাল মেয়েদের মত আধুনিক মেয়েরাও ধূমপান করে।কফিহাউসে মুখ ঢেকে যায় উদ্ধত ধোঁয়ায়।
ছেলেদের টিস্ করে।টোন কাটে।অনেকটা খোলামেলা পোশাকের উদগ্র মেজাজে মেয়েরা জনপদে,মফস্বলী রাস্তায় এমনকি গ্রামের আনাচে কানাচে স্লিভলেস পড়ে।ওড়নায় বুকের চড়াই উৎড়াই ঢেকে নিতে বয়ে গেছে তার।সতীত্বের ন্যাকামি পোশায় না আর।
মেয়েরা আকাশে এখন ।উড়োজাহাজের সেবিকাই নয় , হাওয়ার গতির সাথে কাটাকুটি খেলে।কলেজে কারখানায় খোলামেলা গালিগালাজ তার বাঁহাতের খেল।কলমবাজি তে মেয়ে আকছার অ্যাকাডেমি পায়।মঞ্চের মাঝখানে দা়ঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উদাত্ত কন্ঠে আইটেম গায়।
শুধু অন্ধকার নেমে এলে বাতাসের কানে কানে  সংহত শুদ্ধ ভঙ্গিমায় কারা যেন বলে যায়, ছিছি এরা কি আদপে নারী! মেয়েদের জাত। টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো এ শ্বাশুড়িরা  আন্তরিক প্রেমে বৌমার মা হয়ে যান,শ্বশুরেরা বাবা।
বাড়িতে  ফেরার পথে অন্তরঙ্গ স্বরে বলে দেন ...রাতের খাবার রেডি করে ডাক দিও।বড্ড ক্লান্ত আজ।কাল তো বাবুর অফিস , নাতনির স্কুল ।টিফিনটা ভালো কিছু দিও। দেখো বাইরে খেতে না হয়।

গাড়ির জানলা দিয়ে বসন্তের জ্যোৎস্না খচিত আলো হাওয়া বৌমার খোলা চুলে ঘোমটা টেনে দেয়।

মিউজিক সিস্টেমে তখনও একটি মেয়ে নাটুকে কায়দায় গলা ফুলিয়ে চীৎকার করে ...আমি সেই মেয়ে।আমি দশপ্রহরণধারিনী....

একটা শেকলের লকলকে জিভে কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাইকেলের চাকা শহুরে রাস্তায় হঠাৎ ই আটকে যায়।

শপিং মলের  ইলেকট্রনিক্স শোরুমে চলতি টিভিতে নিউস অ্যাঙ্কর সাহসী কন্যার বীরত্বের কাহিনী বলে চলে আবেগঋব্ধ কন্ঠের তীক্ষ্ণ উচ্চারণে।





No comments:

Post a Comment