Monday, March 26, 2018

 সেঁজুতি বড়ুয়ার কবিতা 

ঘরে ফেরার আগে


প্রতিভা। গোলাকার মুখমণ্ডলে ঘনপল্লবে আলো ফেলছে খুব
উল্লাস- ব্যাকরণ থেকে তৃতীয় পায়ের মাপে ফোয়ারা ছোটাচ্ছে
অ্যাডভেঞ্চার...পুরোনো পোশাক খুলে সাতটি আঙুলে নিবিড় স্পর্শে
হৃৎপিণ্ড- টিনড্রাম সুরে ফাঁপা অহঙ্কারে চৈতন্যে বাজছে
অজস্র ঘাট...শব্দহীন ঘুমহীন গলুইয়ের রাত্রিদিনে জেগে আছে
ওড়ে...তড়পানো মেঘ, ডানায় শব্দ জপে প্রযত্নে ইতি বেয়ারিং চিঠি
‘একান্ত গোপনীয়’ মর্মর পাথরে কেউ সন্ধ্যার সংকেত দিচ্ছে
একরঙা সুতায়...ইচ্ছেরা হাঁটে কারো অতলান্ত ডাকের অপেক্ষায়!


পৃথিবীতে কৌমার্য বলে কিছু নেই! 


অনিঃশ্বেষ স্নান চাই, স্প্রিংয়ের মতো ডিগবাজি খেয়ে পড়বো
মৌনি বগালেকে! সূর্যাস্ত আভা ছড়ানোর আগেই পৌঁছে যাবো
নাগরাজ্যের অদ্ভুত ইতিহাসে...
সর্পবেশী কোনো জল্লাদের কৃপাণ ঘাড়ে আসার আগেই
সমস্ত ছদ্মবেশ ছেড়ে, নাভীর কালো তিল ঢেকে হবো সাবিত্রী
ভ্রু-যুগলে ক্ষীপ্র ঘোড়সওয়ারের মাতম তুলে
লাগামটা ঠিকই ধরবো নিজহাতে, রসাতলে নামবো মোহনীয়
বাঁকা হাসিতে!
সর্পপুত্রের আড় বাঁশির গমকে ছুটে যাবো
গাঁদাফুলের উপবাসী নাগলীলায়...পায়ে বেড়ি পরানোর সেরকম ইঙ্গিত পেলে
পাতালের দরোজা খুঁজে সাঁতরে বেরিয়ে আসবো শ্যাওলাধরা নোনা জলে
জলের আদিম বাঁক-উষ্ণ প্রস্রবণে...
-পৃথিবীতে সীতাফল বলে কিছু থাকলে আমিও রামফল কুড়াতে পারি
শিল্পিত তাঁবুতে শয়নে-স্বপনে কৌমার্যের সোমরস পান করে!


1 comment: