Wednesday, March 28, 2018


রত্নদীপা দে ঘোষ

৩৬-৩২-৩৪
(সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ)

অশ্লীলতার দায় কবির নয়


উৎসর্গ


যারা
ডুডু খায়
লুডো খেলে
মুখ মুছে ফেলে




যৌনগ্রন্থ
হাজার চাণক্যের চাইতে দামী
অর্থশাস্ত্র


আমি কালো
সাদা কনডোম চাহিয়া

লজ্জা দিবেন না




আমার যৌনতা শুষ্ক বড়ো
নোনতার মাত্রা কম

প্রভু হে
বাওয়াল কোরো না
বরং সিনড্রোম করো বোয়ালের
যোনিঝুলি ভোরে দাও আমার
খনিজরসের মাত্রা বাড়িয়ে



প্রোটেকশন দিতে পারিনি। গানপয়েন্টের মুখ। মেলে দিয়েছি গতর। সাম্প্রতিককালে এমন রঙিন রানওভার দেখেছ কি ? বুককেস থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ব্যাকলেস ব্রা। এমন মৃদু ফ্লেভার হ্যালোজেন শুঁকেছ?

দ্যাখো। চাখো। অ্যসহোল। আয়োডিনের ঝাঁঝ নাও।
তারপর ... তারপর ...
মাদার-সিস্টার থেকে সেরে ওঠো
হে অসুখী যৌনসিস্টেম




নাঙ্গা হলেই গান পেতে থাকে থাকে আমার । আরে বাবা , গান গান ... গান মানে সঙ্গীত নয় । গানের কি গুলি থাকে ? ... না , থাকে না । গান গাইবার জন্যে কোন বল দরকার লাগে না । কাড়া নাকাড়া কাল ভৈরব তাল বেতাল কীসব করতাল খোল লাগে যেন ...

আমার চাই গান । গান মানে বন্দুক । দুটি বুলেট থাকলেই কাজ চলে যায় …  বুলেট ... মানে গোলাকার বল । আরে মশাই এই বল দিয়ে ফুটবল খেলে না । এই বল নিয়ে আমার ... আপনার পূর্বপুরুষরাও খেলেছেন , বেশ ধূমধাম করে খেলেছেন ... সেই বলের ফলাফল তো আমরাই ...

আমরাও সেই একই বল নিয়ে খেলছি , বলে বলে বলাৎকার হচ্ছি ... যতই বাড়ছে খেলা ... বলদুটিো বেড়ে যাচ্ছে ... মিটারে বায়োমিটারে ...  বল কি কখনো বুদ্ধদেবের তোয়াক্কা করেছে ? করেনি ... মমতারই বা করবে কেন  ... বল আসলে আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে সৃষ্টি ... প্রশাসনের তোয়াক্কা করে না ...

এই দেখুন , গান গাইতে গাইতে আমরা দুজনেই বলের সীমানায় চলে এলুম ... বল খেলতে কিন্তু মন্দ লাগছেনা ... কি বলেন ... গোলকিপার লাগানো আছে তো ? সাবধানে কিন্তু ... দিনকাল ভালো নয় ... চারদিকে অসুখ বিসুখ খুব ... লুফে নিন বল ... নরম নরম বল ... আমার বল ... আপনার বল ...

আপনি ভালো ফুটবল প্লেয়ার  । ঈর্ষা করিনা  । দূর থেকে দেখি আর মুগ্ধ হই । মুগ্ধ হই আর কামুক হই ... ঝলমল আপনার বল দুটি । নাঙ্গা হই । খিদে পায় । খেতে ইচ্ছে করে । গানটিকে সশব্দে চেপে ধরি ... বলদুটি দূরের চারপাশে আয়নার মত ঝুলে ঝুলে দুলতে থাকে ...




তোমাকে দেখি
তোমাকে দেখি আর প্রেমিককে দেখি
তোমাকে দেখি আর ধর্ষককে দেখি


তোমাকে দেখি
তোমার হাত ভর্তি ৎ রঙের ব্রা
তোমাকে দেখি
তোমার চোখ ভর্তি খয়েরি পাছা


তোমাকে দেখি
সন্ন্যাসী গৃহস্থ দেখি
তোমাকে আঁকি
রেপসিজনে ডাকি


তুমি ঈষৎ নুড়ি পাথর
বেলেল্লা খেলতে খেলতে
যত্রতত্র হারিয়েছ  পথ

তোমাকে শুনি আর
তোমার জেব্রা সন্ন্যাসে

পবিত্র করি কেশদাম যোনি




ভারি তলপেট

উঁচিয়ে আছে ভেনিসলিঙ্গ


সেক্স একটি  ডেলিকেট ডেলিকেসি

 গ্ল্যাডিয়েটর পৃথিবী-শ্রেষ্ঠ কনডোম




সম্ভবত আমি ঠিক তোমার মত করেই
ঝাঁপিয়ে পড়বো তোমার বুকে

তোমার মত করেই উপড়ে নেবো তোমার পোশাক
ব্র্যাকেট খুলে ওড়াবো বক্ষবন্ধনী

মুঠো নেবো তোমার বুক
হে ভগবান , বুক কোথায় ? স্তনই বা কই
এ যে  শুধু ফোঁটা ফোঁটা চিড়ে আর চ্যাপটা
ডেকচি আর হাঁড়ির মিশেল
সে যাই হোক
খুঁটে খাবো তোমার বোঁটা
বুক থেকে দুধ বার করতে পার আমার মত ?
ছেলেকে খাইয়েছ কখনো সেই দুধ
সেও কি তোমার মত ... দুদু  খায় আর মুখ মোছে
মুখ মোছে আর দুদু খায় ...

স্বাদ পাবো না জানি ...
তবু তোমার বাঁ দুধ চুষবো আমার ডান ঠোঁট দিয়ে
বাঁ ঠোঁটে জাগাবো তোমার লিংগ , আগ্নেয় অস্ত্র
তারপর ন্যাংটো তোমাকে দেখাবো জাহান্নম
চোখ আধাআধি খোলা  ... মুখ আধখানি বোজা
ক্লান্ত হবো না ... কখনো আড়াআড়ি ...
কখনো সোজাসুজি
রগরগে  ... চটিমার্কা
করবো তোমাকে
ঠিক তোমার মত করে

তারপর

বিরিয়ানি  চিকেন , লেগপিস
দাঁত থেকে খুঁচিয়ে বের করবো মাংসের কুচি

দৃপ্ত পায়ে ফিরবো সংসারে ...
সুখি গৃহকোণ আ
ততোধিক পবিত্র পরিব্রাজক
বহুদিন বাদে জন্নত সেরে ফিরবো

মানুষকে ধর্মান্তরিত করে




একবার ধর্ষিতা হবার পরে মাইরি বলছি
লজ্জা টজ্জা আর থাকে না
বিশেষ করে প্রেমিক যখন ধর্ষক ...

যতক্ষণে ভয় পেতে শুরু করেছি  তাকে
সে সোজা জিভ ঢুকিয়ে দিয়েছে গুগুলের জি-স্পটে
জিভ যেন পিকাসো , পাব্লো দেরিদা
জিভ যেন শক্ত এঞ্জেলোর নরম নেরুদা
চলছে চলবে ... ব্রেক ইভেন অবধি

প্রেমিককে মনে হয়
সোজা এবং সাপটা সাপ
গরম হিলেহিলে পদ্যকার সাপ
জল না ভাঙা অব্দি
সে কিছুতেই ডাঙা ছেড়ে আসবে না

একবার ধর্ষিতা হবার পর থেকে
সাপ দেখলে ভয় তো দূর লজ্জা টজ্জাও করে না ...
মনে হয় প্রেমিক বুঝি ...
প্রথমে পেন্সিলস্কেচ করবে আমার
তারপর কামড়ে ধরবে সরু বাঁকা অক্ষর
তারপর ওয়াটার কালার ... পেন চেরা জিপার ...
ড্রয়িং ... গ্রাফ বাড়বে ক্রমশ ... ছলকাবে স্টেপনি

স্নো-ফল শেষ হলে
সেই সর্পপ্রেমিক আমাকে নিয়ে যাবে ডিনামাইটের দেশে
ক্লাউড বার্স্ত করবে মেঘ

আমি
বুক জড়ো করবো ব্রেসিয়ারের হুক ঠেলে
পায়ে পায়ে বন্ধ করবো প্যানটির প্লাগ  ...
প্রেমিকলিঙ্গতে ঠেকাবো পেন্নাম

জয় সর্পদেবতার জয় ... জয় বাবা অমরনাথ
জয় এপিকের হরিনাম  ...




তোমার পেনিস আমি দেখিনি
দেখিনিকো

শুধু তার নড়াচড়া

শুনেছি তার সি সার্প পর্নো




আমি কি জানতুম না ?
জানতুম বৈকি
ঠিক এই রকমি হয়


বান্ধবীরা বলেই দিয়েছিল
দেখিস , সে প্রথমে তোর কবিতার প্রশংসা করবে
তারপর তোর শরীরের ...
বলবে , আশ্চর্য সবুজ ফিগার তোমার
জিরো নয় , তবু কিরকম একটা জিরোপ্লাস ফ্লেভার তোমাকে দেখেই জানলুম
ক্লিভেজ আসলে একটি মার্শাল আর্ট
উন্মাদনা হে , তুমি কত সাইজ থং ,গাঢ় রঙ ?


এটি একটি ট্র্যাপ ...

বুঝেছিলুম নিজেও
তবু বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেলো আমার
ঢুকে পরলুম সদলে
মাষ্টারবেশনের রিং বাজিয়ে দিলুম প্রতি তিন ঘণ্টায়
বুলিয়ে দিলুম চিত্তাকর্ষক লিপ
ঘষামাজা চলল খানিক
চুমা-চাপটি
বেতাল বাদশার হোলিস্টীক

তার পর


একটি আই-পিল খুলে দিল ফ্লুরিজগেট

নরম কেকটি কেটে
আইসিং চেটে চেটে
বেরিয়ে এলুম

মোহের ম্যান – হোল থেকে




হালকা লাগছে খুব
অনেকটা পাখির মত
স্বমেহনের পরে যারা স্বেচ্ছায় পালক খসিয়ে ফেলে

যদিও গলাবাজি করে কেউ ঠুকরে গেছে আমাকে
কেউ গেরিলা মেপে পালিয়ে গেছে
বাইশ গজ ডেবোনেয়ার

ব্রেসিয়ারের প্রকৃত শোভা শোনেনি
অতি দ্রুত লয়ে ডিঙির মাঝিটি
অশিল্পের রতিটি সেরে গেছে ...

জল
হুড্রু থেকে দশম জলটি যখন খসে ...
সে এক অলীক বিভূতি
প্রকৃত ডেথসার্কেল

দুর্দমতা  বোঝেনি কেউ
আর ডি এক্সের দস্যুতাও শোনেনি
হাল্কা আছি তবু

বাঙালী মেয়ে আমি
উপেক্ষা করেছি হায়নাবাজির রিখটার
সিংহের কালাহারি মনিটর

পালকের মত অটুট আছি তবু
 হীরকের সদ্য মানহারা মণিতে


2 comments:

  1. বইটা পড়লাম। নির্মেদ, টান, টান এবং রোমান্টিক আলুথালু-গদগদ-মিস্টিক-ভূতুড়ে গন্ধের কবিতা থেকে মুক্তি। মহৎ পুস্তক কি না জানি না, কিন্তু উপভোগ্য।

    ReplyDelete