Thursday, March 29, 2018

রাহুল গাঙ্গুলী



মাঝামাঝি অবস্থান ~ ১টি দৃশ্যবার্তা কোলাজ
(১ম অংশের পর)
------------------------------------------------------------------
আপাতত ~ ঝুরঝুরে কাচ/বালি/রোদ/অভ্র/ঝিনুক
স্থান ~ ওডালারেভু সমুদ্রতট
অক্ষাংশ : (৮১.৯৫৭১৫ - x)
দ্রাঘিমাংশ : (১৬.৪৪২৯১ - y)
উচ্চাংশ মাত্রা : (z - উচ্চতায় সমুদ্র পিঠ)

অগোছালো ১২টা।দুপুর উপচানো কাঁধ।রিংটোন ~ অবিলম্বে ঘটিয়ে ফেলা সমান্তরাল ডায়ালগেজ্ ∞ যেখানে x=y=z=অস্থির 0 মান।চোখের কালো অংশে ডুবোজাহাজ ~ ডোবে না : কেবল ভুটভুটি ঘামজলে ভেজে।জল ~ ভারী জল ~ ঘনো ভারীজল ~ তেজস্ক্রিয় ঘনভারীজল : (ভারহীনতা > ০)।আরো একটু এগিয়ে ~ ক্রমাগত : সরন/ঘূর্ণন/নিক্ষেপন/ত্বরণ ~ ঘুমভাঙানি চুম্বক শেখায় ৩য় সূত্র ~ 'শুদ্ধ হও।শুদ্ধ করো' ~ ভাসমান [সময়✡] যতোটা আয়তনগত অবয়বহীনতায়।


সমুদ্র : বরফ গলছে।ইদানীং রোদকম্পাঙ্ক ছাড়িয়ে ~ যেনো খোলা উঠোনের কোল।কোল গড়িয়ে সংরক্ষিত আলো : মাঠের ফসল থেকে কোষীয় ক্রোমোজোম

রাহুল : বুকের উষ্ণতা পুড়িয়ে কৃষ্ণগহ্বর।চলমান ~ তুমি কে : আমিই চলমানতা।বহমান ~ তুমি কোথায় ~ বহমানতা [© আবহমান] মুখোমুখি।দ্রাব্য '?' শেখায় নক্ষত্র সন্ধানের শিকড়

সমুদ্র : অথচো দেখো ~ যাবতীয় শিকড়েই কিন্তু উত্তাপের খোঁজ।আজ কতোটা শীতল হলে ~ পরিমাপ করো।কাল কতোটা ঝুরোঝুরো বরফ ~ এগিয়ে আসলে বালিজ অভিমান

বালি : পরিচয় চিরে ফেলা ব্যস ~ ভাবো এখানেই মিশে গেছি আমি।(জল ভাসে ~ জলের ওপর জল ~ জল ভাসে ~ বহুজলীয় স্তর : সমুদ্র আঘাত ~ ভাসমতি জল)

রাহুল : দেখছি ~ এখানেও কতো উপোষ / কতো কুয়াশা ~ বালিরা টুপটুপ ~ বহুগামিতায় স্পন্দন

শিকড় : তাহলে কেনো মানো না ~ তোমার পেটেও থাকছে আদিম মাটি।মিশে যাচ্ছে দেহ ~ যেখানে আমরা সবাই আগামী-র মাটিদেহ

রাহুল : বুদবুদ ওড়ে।ফাঁকা পথ বুড়ো হয়।বুড়োটে নখ ~ নখ ভাঙে : সেতু ফিরে যায় মেঘকালো বাড়ি

সমুদ্র : ফাঁকা হলেও বা কি অথবা না হলেও।বলা কি যায় না ~ ০-ভর্তি অস্থায়ী অসীম।যাযাবর রাহুল বৃষ্টি খোঁজে ~ বৃষ্টি-জায়মান : নগ্ন অপেক্ষা

শিকড় : যদিও ~ এই নাম / সংখ্যা / আকার / তল ~ সবই আণবিক দাবী : নিখোঁজ রাহুল ~ রাহুল-কে খোঁজে

রাহুল : খনিজ পোষাক ~ শাদাসাদা বালি জমাই।বালিকথার ক্যানভাস : এই মেঘ/দুপুর ~ জড়ানো ফুসফুস থেকে মিউট্যান্ট জাদুকর

সমুদ্র : ভুলে যাচ্ছো ~ জাদুঘরের সর্বনাশ : বাগান ভর্তি ~ বালি/মাটি/খনিজ।আফসোস : এতোটা এগিয়ে গেলে শিকড়ের নগ্নতা ভুলে

বালি : ঝমঝম ~ ঝমঝমিয়ে : ক্রমাগত খোলাছাদ।উপত্যকা-শিরা এখনো বর্ষা ছেটায়।উল্লাস ভেসে পড়ে ~ তুমুল সর্বনাশ ~ সর্বনাশে ভাসমান নাবিক : ২পশলা চিহ্নহীন দেহ

শিকড় : ঝিনুক কোথায় ~ রূপকথামালা : বন্ধকী সীমান্ত [ছায়ারূপ ~ অছায়া তছনছ]

ঝিনুক : আছি হে বাউল।উলু দাও ~ হাঁটু মুড়ে তুলে ফেলি বোধিফুল।এখনো পাড়ি দেওয়া বাকি।পাড়ি দেবো।বাদবাকি কালরাতে ~ নিঃসঙ্কোচ অভ্রঘুম

রাহুল : অদৃশ্য রূপক ~ খোঁপা ঝরা কুসুম-শিশির।নুনের পরিমাপ বাড়ে : কমে গেলে টিক্-টপ্-টপ্।ভেলা নিয়ে তুমুল অজগর ~ আসমানি মাঝে দরিয়ারেখা।দেখা হবে।আবারো শুদ্ধতা ~ ঘি-চন্দন প্রলেপ্ : আবারো শুদ্ধতা

সমুদ্র : এসো এবার।সকলেরই পরিচিত জরায়ু ~ এসো এবার।ঘড়িতে পারদ-লেখ : শিলালিপি।গুহাকথা।লাজুক সঙ্গম


শব্দরূপ : রাহুল

(দৃশ্যবার্তা নিয়ে কাজগুলোর আরেকটু এগিয়ে যাওয়া।এবারে দিন, সময়, অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশের সাথে যোগ হলো উচ্চতার মাপ।এই কাজটির মূল উদ্দেশ্য হলো ~ মহাব্রহ্মান্ডের অন্তর্নিহিত প্রকৃতির ভিতর প্রবেশ এবং তার উপাদানগুলির সাথে আত্ম-উপলব্ধির সংযোগ স্থাপন ~ বার্তা বিনিময় মাধ্যমে।প্রকৃতির এমন কোনো উপাদান নেই, যা প্রাণস্পন্দনহীন এবং যা আমাদের উপকার করতে চায় না, আর এখানেই যাবতীয় জীবনের সূূত্র)

No comments:

Post a Comment