Sunday, March 25, 2018

আরিফুর রহমান

১. উর্বশী রোদের ছায়াবাজি

চিলেকোঠা ঘরে অন্ধকার রেখে উর্বশী রোদ নেমে গেছে নিচে। দারুণ একটা বারান্দায়। যেখানে জমে গেছে খেলা - প্রাচীন প্রেমে - লাজুক লতা বুনো স্পর্শে নেতিয়ে পড়লে ওর আলতো চুমু ভাঙিয়ে দিচ্ছে ঘুম।

পলাশের বনে, শিমুলের ডালে, কৃষ্ণচূড়ার ডগায় লেগেছে ঘুম ভেঙে যাওয়া আগুনের উৎসব। বাসন্তি হাওয়াও আজ দোলের রঙে রাঙিয়ে নিলো মুখ।

কেবল আমারই জানালায় ঝুলে আছে শীতের শেষের ভাঙাচুরা গল্পগুলো। ও আকাশ, ও সূর্য বসন্তেও আমাকে নিয়ে তোমাদের ছায়াবাজি এই মূর্খের বোধগম্য হলো না।

২. দুপুর

নির্মেঘ আকাশ নেমে গেছে
দূর বসতি-বৃক্ষে
কয়েকমুঠো রোদ মাখামাখি-
নিচে শঙ্খ লাগা ছায়ায়

এ দুপুর বাড়াচ্ছে সৌরতাপ

ও মুখো হয়ো না  মন,
মনযোগী হও গৃহে
যেখানে প্রস্তুত আপাদমস্তক খোলা
কবিতার খাতায় ভাতঘুম
কিংবা নৈঋতা।

৩. বিরহবেলা

ঘুমিয়ে পড়া রাতের চোখে
নিয়ম করে রোজ স্বপ্ন জাগাই।
চলে যাওয়া দিন আঁকিবুঁকি খেলে
মেঘচুয়ানো জলের বারান্দায়।

আমার জানা ছিল না কিছুই
কোনটি পাহাড়, পাহাড় চূড়া, চোরা ঢাল
তুমি শিখিয়েছো ছুঁয়ে ছুঁয়ে, কৌশল
দেবস্পর্শে মেয়েলি আগুনের ঘুম ভাঙানো;
গভীরতম লাজুকতা মিশিয়ে নিয়েছো ঘামে
তারপর... সরে গেলে
এখন আমার অথই অন্ধকারে
অতীত কেবলই হামলে পড়ে।

এই বিরহবেলায়
আমার কষ্টের মেঘগুলো
ভাসছে... ভেসে ভেসে জমছে তোমার সীমানায়
বসন্ত থেকে ঝোড়ো বৈশাখের দিকে

টের পাচ্ছো?


No comments:

Post a Comment