Wednesday, March 28, 2018

ফেরদৌস নাহারের কবিতা

জাদুকর

প্রতিবার জাদুঘরের সামনে এসে দাঁড়ালে 
খুব ইচ্ছে করে জাদু দেখাতে
সেই কবেকার ইচ্ছেটি পাকাপোক্ত হতে হতে
ঘূর্ণিচক্র নাচে তাড়িয়ে মারছে 

ইচ্ছে করছে, বন্ধুদের চমকে দিয়ে হঠাৎ
সামনে গিয়ে দাঁড়াই, বলি, কেমন আছিস
ওদের বিস্ময় কাটার আগেই মিলিয়ে যাই
আবার অন্য কোথাও অন্য কারো কাছে 
এ ধুলোর খেলাঘরে মায়ামন্ত্রের ঘোরে 
যেখানে যাবার কথা নয় সেখানেও যাই

জাদুঘরের সামনে এলেই ইচ্ছেরা এভাবে
তাড়া করে, বেড়ে ওঠে, কেন ওঠে
আশ্চর্য কিছুর সাধ, দেবে অপবাদ জেনেও
কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছি না এখনো
বেমক্কা ধাক্কায় শতাব্দীর খেলাঘরে বাতাস ওড়ে
সবকিছু শূন্যে তুলে তালি মেরে মিলিয়ে দেই
অজানা মন্ত্রে, বাহু মেলে ভেসে বেড়াই

পূর্ণিমা ঘোর জ্যোৎস্নায় ব্রিজের উঁচু রেলিঙে
এসে দাঁড়িয়েছি। উথাল কাঁপিয়ে এখন
কোথাও উড়াল দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাব
জাদুকর হয়ে ওঠার এই তো সময়


রিং মাস্টার নামে

আমি পড়ছিলাম তোমার চিঠি
দেখতে পাচ্ছি একটি অজানা গোলকধাঁধার ছবি
এগুলো কি সত্যি সত্যি একদিন কেউ লিখেছিল
ভাবছি না,তাও ভাবনা আসছে উড়ে উড়ে
মনে নেই জানি আমাকে তেমন, তোমাকেও তাই

মাঝে মাঝে খুব বৃষ্টি এসে মনে করে দিয়ে যায়
মধ্যদিনের আলোর মাঝে কেউ একজন চাবুক হাতে
সিংহ বাঘের খেলা দেখাচ্ছে, সবার বুক খুব ধুক ধুক
কোন সিংহ কাকে যে খাবে কোনো আঁধারের মাঝে
কেউ একজন খেলা দেখাচ্ছে, রিং মাস্টার নামে

বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে, চিঠি রেখে দেই খামে


No comments:

Post a Comment