Wednesday, March 28, 2018

হে র ম্ব চ রি ত
সু বী র স র কা র

গন্ধ ও মিথ

ভুলে যাওয়ারও তো একটা ইতিহাস থাকে।ইতিহাস থেকে ভুলে যাওয়া চাপা পড়া অংশগুলি অংশত আংশিক এক ভুলে যাওয়ার রদবদল এনে দেয়।হেরম্ব কি ইতিহাসের কেউ হতে পারে!হতে পারাটা সম্ভব নয় কারণ নিম্নবর্গের কোন ইতিহাস হয় না,হলেও মান্যতা পায় না।নদী নালা জঙ্গল জলা জনজাতি ভাষা বিভাষা কথা উপকথার প্রান্ত প্রান্তরের গানবাজনা পূজা লোকাচার সবকিছু নিয়ে অন্য ও অনন্য এক ইতিহাস মান্য ইতিহাসের সমান্তরালে তীব্রভাবে রচিত বিনির্মিত হয়ে উঠতে থাকে।মান্যতা এখানে গৌণ।মানুষের অংশগ্রহণ আবার অংশগ্রহণের সম্প্রসারণযোগ্য পটভূমির মধ্যে চিরকালীন ভোরবেলার মতো ইতিহাসের ভুলে যাওয়াটাকেই বিদ্রুপ করে; নির্মাণ বিনির্মাণ নিয়ে ইতিহাসেরই ইতিহাস রচিত হতে থাকে শব্দ-নৈঃশব্দে।নৈঃশব্দ খান খান করে কাঁচ ভাঙবার যুদ্ধযাত্রার চক্রান্তকারীদের দরবারী ঝাড়লণ্ঠন ব্রাত্যমানুষের বিক্ষোভ-সংহত হতে হতে ইতিহাসের সংযোজিত অংশ হয়ে প্রাচীন প্রবীণ বৃক্ষশাখার হাওয়াবাতাসে সংকেতময়তার পরিসরটুকুতে ঠোক্কর দিতে থাকে।হাতিডোবার খাল কাজলীকুড়া সাহেবেরহাট দইভাঙ্গির দহ আশ্চর্য আঞ্চলিকতার মিথ ও গন্ধে প্লুত হতে হতে হেরম্ব নদীর সকল অংশগুলিই অতিক্রম করতে থাকে।অতিক্রমণের আবহমানতাটাই চিরসত্যি সূর্য ওঠা চাঁদ ডোবার মতো।ইতিহাসের চিরচেনা পথের প্রান্তরেখা ছুঁয়ে ইতিহাস চলতে চায়।অথচ আঞ্চলিকতার চোরা টানে চোরাবালির ভিতর ইতিহাসের আবশ্যিক নিয়মটুকুই বড় হয়ে ওঠে। যেন নিয়তিতাড়িত মানুষের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন খোয়াব ইতিহাসেরই মহাবৃত্তান্তের রূপ ধরে আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়।প্রলোভনের ফাঁদ এড়িয়ে হেরম্ব জলধোয়া খড়ম জোতদার নিয়ামত কবিরাজ ধনবালা খইচালু সবাই মহার্ঘ্য এক ছবির ফ্রেমে গিয়ে ঢোকে মহাকালের চূড়ান্ততম কথাছবির মতো।ভুলে যাবার ইতিহাসটা যেমন সত্যি ঠিক ততটাই ইতিহাস ভুলে যাওয়াটাও।

আঞ্চলিক যাত্রাপথ

এত সব ইতিহাস অঞ্চলকথা প্রান্তজনের আঞ্চলিক হয়ে উঠতে চাওয়ার মধ্যে কোথাও কি হেরম্ব ছিল?না কি তাকে খুঁজে আনতে হবে?সেই যে এক বনাঞ্চল পর্বতরেখাবেষ্টিত জলাভূমির উপকথায় হেরম্ব দাঁড়িয়ে ছিল সেখান থেকে সকল আলস্য ভেঙে হেরম্ব আবার তার একক যাত্রা শুরু করে।শুরুর স্থবিরতা বাঁক নেবার অপ্রচলিতে আলস্যের আংশিকতার ঘনত্ব এনে দিতে চাইলেও তাকে অগ্রাহ্য করে জঙ্গলপথই হেরম্বর পূর্বনির্ধারিত।হেরম্বকে এভাবেই পেরিয়ে যেতে হবে দিবালোকের জঙ্গল আদিবাসীদের গ্রাম ঝোরা নালা চা-ফ্যাক্টারী হাসপাতাল নদী নদীপারের কুলবন,উঁচু উঁচু বাঁধ শেয়ালকাঁটার ঝাড় ঘন্টাফুল লতানো গাছলতা বুনো ফল_সব,সবকিছু।এই যাত্রাপথে হয়তো জলধোয়া বসুনিয়া থাকবে না,তবে আরো আরো নতুন নতুন মানুষেরা তাকে সঙ্গ দেবে;সখ্যতাও।সখ্যতায় ঘনত্ব সেভাবে থাকবে না।অনন্ত এক উদাসীনতা তাহলে কি জড়ানো থাকবে হেরম্বর শরীরমনে!উদাসীনতা পাকেচক্রে শরীরে শ্যাওলাজড়ানো অনুভূতির দিকে আকাশমাটির বাস্তবতার বাস্তবতাটুকুই মেলে ধরবে।বৈশাখ আষাঢ় কার্তিক বর্ষা হিম বারমাস্যার গান হয়ে পথে পথে পাকাধানের খেতখামারে মাছধরার জালজালকের কৃষিকর্ষণ আদিবাসীদের করমপুজা নাচগান জঙ্গলের হাতি বাইসনের আগুনচোখ হরিণশাবকের নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে পড়া মেঘের ডাকে পেখমমেলা ময়ূরের নাচের অনবদ্যতায় জীবনের আপাতসরল সরলীকৃত ধারাবাহিক গতিময়তায় সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে থাকে।থাকাটাও আঞ্চলিক হয়ে উঠতে পারবে কি না সেটা অনুধাবনের প্রয়োজনীয়তা অগ্রাহ্য করে হেরম্ব চলতে থাকে।তাকে ঘিরে ধরে বনবাদাড়ের যত পাখপাখালি হাতির মাহুত মাহুতের স্মৃতিজড়ানো সব হাতিগান;মহিষের পিঠে শুয়ে থাকা কিশোর,নদী পেরিয়ে নদী সাঁতরে জঙ্গলের নিশ্চিন্তিতে ঢুকে পড়া দশ কুড়ি বরাহ,বাইসন।থাকতে না চাইলেও সমস্তকিছুর হেরম্বকে কিন্তু থেকে যেতেই হয়,কেননা থেকে যাওয়া ব্যাতীত তার আর কোন উপায় নেই।

মোল্লাবাড়ি

প্রাত্যহিকতায় দৈনন্দিনে ভোরের ভেতর জেগে উঠতে চাওয়া ভোরগুলির ভাঁজে ভাঁজে কেমনতর দেহতত্ব এসে পড়ে।তখন ফজরের নামাজ ভাঙে মোল্লাবাড়ির মসজিদে।জামাতের জমায়েত ভেঙে গেলে ভাঙা জমায়েতের টুকরোগুলির বিভ্রম থেকে ভ্রমবশত ভ্রামণিক লোকজতা বিনির্মিত হতে থাকে।কবেকার আভিজাত্য বনেদীয়ানা প্রাচীনতা নিয়ে মোল্লাবাড়ি যেন তার প্রবীণত্বকেই প্রতিধ্বনি ধ্বনির আবর্তে টেনে আনে।তামাকের হাট বল পাটাহাট বল গরুহাটি বল সব সবকিছুকেই মোল্লাবাড়ির চৌহদ্দীতে এনে ফেলতে হয়।কথিত আছে সেই কবেকার ওয়াহাবী ফরাজী খিলাফতের দিনগুলিতে মোল্লাবাড়ির রুকনুদ্দিন জয়নাব ইলিয়াস মইনুদ্দিনেরা দুধসফেদ ঘোড়া ছুটিয়ে চলে যেতেন দিকদিগন্তের পানে।মোল্লাবাড়ির ফরিদা ফুপু আঞ্জুমা নানীর ‘বিয়ের গীতের’ নিজস্ব দল ছিল যার কথা ৫০/৭০ মেইল ব্যাসার্ধের গ্রামগুলির পুরোন নতুন মানুষেরা প্রায় সকলেই জানে।জানা অজানার পর্ব পর্বান্তর পেরিয়ে যেতে যেতে পটভূমির ভিতর মোল্লাবাড়ি ঢুকে পড়তে চায়;ঢুকে পড়ার পর্যাপ্ত অনুষঙ্গ প্রামান্যতা উপযোগী কিনা সেটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে যখন মোল্লাবাড়িই প্রকৃতপক্ষে প্রাকৃতজনের এক পটভূমি হয়ে উঠতে থাকে।পটভূমি কি স্থিরচিত্র হয়ে পটভূমির ভিতর বসে থাকতে পারে!বসবাস করলেই কিংবা বসতি বসালেই তো আর হবে না;তাকে চলমানতা দিতে হবে।হাটবাজারের ব্যাস্ততাও;লোকাচার লোকবৃত্ত কাঁথাসেলাইয়ের দিনগুলি বসতির প্রান্তিক রেখার স্পর্শযোগ্যতা স্বত্বেও স্পর্শযোগ্য মনে না করবার দ্বিধা দোলাচলে ভিন্নমুখি পটভূমির কথাই পটভূমির নতুন জেগে ওঠা অংশরূপে বিবেচ্য বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে থাকে;গড়ানো বেলার আকাশের গুটিয়ে নেয়া আলোর নিঃসঙ্গতায় জল জলা জনভূমির বিষাদের মহাশুণ্যতায় বিলীয়মান সামগ্রিকতাটা লুপ্ত হতে হতে বিলুপ্তির সান্নিধ্যটুকু বেলা-অবেলার দিনবদলের ধরতাইটুকুই জাগিয়ে রাখতে চায়।জাগৃতির প্রাণময়তায় জলে ভাসা নুড়িপাথরের মতো চিরকালের সত্যিকথন হয়ে মোল্লাবাড়ি নামাজ জামাতের বহুস্বরিকতায় জেগে থাকে তীব্র এক জমায়েত হয়ে।
পুনরুথথানপর্ব
ঘরের মধ্যে ঘর।ঘরবাড়ির বিন্যাসে অগোছালো এক ভাবভঙ্গী বিন্যাসের সামান্য অদলবদলেই অগোছানোটা অনায়াসেই সুসজ্জিত সাজানো পথঘাটের রূপধারণ করতেই পারে।চরাঞ্চল থেকে রাত্রির খুব মাঝামাঝি থেকে জল ছুঁয়ে পাক খাওয়া বাতাসের অসামান্য মৃদু এক মন্থরতা সমস্ত সংজ্ঞার তীব্র বদল ঘটিয়ে দিয়ে যাবতীয়তাটাকেই সংজ্ঞায়িত করে তোলে।চর কিন্তু চিরস্থায়ী নয়,কোন না কোন চরকে সামগ্রিকতা সহই তলিয়ে যেতে হয়,ডুবেও যেতে হয়।আবার নুতন নামের ধারাবাহিকতাকেই অব্যাহত রাখে।এখানেই তো রহস্য।রহস্যের স্থবিরতাকে সচল করে তুলতে পারলেই পুর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুদের ডুবে যাওয়া চরের ফিনিক্স পাখির মতো পুনরুথথান।সাদৃশ্য অসাদৃশ্য তখন আর কোন বিতর্কের বিষয় হতে পারে না।বিষয়হীনতাই ঘরের মধ্যে ঘরের ভিতর কেবল অন্তহীন সব ঘরবাড়ি ঢুকিয়ে দেয়।নমোপাড়া যূগীপাড়া ঢুলিপাড়া দিনাজপুর কলোনী বামনপাড়া কাঁসারীপাড়া যাবতীয় সব টুকরোটাকরায় যেন ফেলে আসা এক দেশ হয়ে পুননির্মিত হতে চায়।হতে পারাটা সম্পূর্ণ না হলেও হতে চাওয়াটাই অনায়াসসাধ্য এক যৌথতা এনে ফেলে।যৌথতার শর্তসাপেক্ষ সামর্থের বিচিত্রতরতার ব্যাপ্ত সময়পর্বের ভিতর আবহমানের সব চরাঞ্চল ঘরবাড়ি আমোদপ্রমোদ পাশাখেলা স্মৃতিময়তা নিয়ে অনিশ্চিত ললাটলিখনের মতো জীবনের খন্ডে খন্ডে ভঙ্গ বিভঙ্গের মরমিয়া গানের আবহের নৈকট্যের সারাৎসার হয়ে গন্ডীর ভিতর গন্ডী ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া পেশীময় স্মৃতিময় প্রাবল্যের দোলায় দোলায় ভাসে।ভাসতেই থাকে।ভেসে যায়।এত এত জটজটিলতায় সূর্যোদয় সূর্যাস্ত চাঁদ ও অন্ধকার সবই নিজস্ব অধিকারে মর্যাদায় ঘরবাড়ির বিন্যাসটুকু এলোমেলো করে দিতে থাকে জীবনের জরুরীতম কার্যকারণসূত্রে।
দেহতত্ব
অতিক্রমণের এক পর্বে হেরম্ব পরিচিত অপরিচিত নিসর্গের গমখেত ধান পাট তামাক তালগাছ নারকেলসুপারীর সারি_ এসবের মহামহিম গাম্ভীর্যময় অস্তিত্বের সামনে এসে দাঁড়ায়।তার দাঁড়ানোটা দাঁড়াবার ভঙ্গীটা অতিরাজকীয়।নিসর্গের অতিনিবিড় প্রাণবন্তে স্নিগ্ধতায় শুশ্রূষায় হেরম্ব তার অস্তিত্বের সকল সংকটকাল যেন অতিক্রম করতে থাকে।খুঁজে পেতে থাকে আত্মপরিচয়ের শিকড়বাকড়।প্রকৃতির চিরচেনা দৃশ্যপট অচেনা সব অনুপম মানুষেরা দৃশ্যকেন্দ্রের আধোআঁধারের ঘনঘোরজাত নুতন হতে থাকা মানবশাবকের মহামান্যতাই অর্জন করে ফেলে।অতিক্রমণের পর্ব থেকে পর্বান্তরে যাওয়া আসার শূণ্যশাসিত অংশগুলি থেকে সুর করে যেন পাঠ করে যাওয়া পুরাণপুস্তক আরো আরো পুরাতন হতে থাকা মরজীবন নিসর্গের কিনার ঘেঁষে সদ্য রচিত নিসর্গেরই হাত ধরে নিসর্গকে স্থাপিত করে অনিবার্য নিসর্গগাথার ভিতর।হাট থেকে হাট চরাঞ্চলে ধানবাড়ি গাননাচের হাটের মধ্যে রেখে আসা জলধোয়া বসুনিয়া আব্রাহাম মিনজ খড়ম জোতদারের আধিভৌতিক পৃথিবীর জনপদের সহজিয়া আখ্যানের মরমিয়া আহ্বানের তীব্র অংশগ্রহণ করতে চাওয়া হেরম্বকে কি তবে বনভূমি চা-বাগানের হাট আদিবাসী গ্রাম ময়ূরময়ূরী বাইসন বাঘের ডাক হাতিধরা গান নুড়িপাথরশ্যাওলানদীর সব বন্ধন সম্পর্ক ছিন্ন করে আপাতত অন্য কোন পরিক্রমণের অংশীদার হতে হবে।হেরম্বর তাতে কোন ক্ষয়বৃদ্ধি নেই কারণ তার স্মৃতিকাতরতা নেই;থাকলেও স্মৃতিকাতরতাকে অজস্র স্মৃতির ছায়া উপচ্ছায়ায় সে বিনির্মাণ করে তুলবে ভিন্নরকম কোন স্মৃতিময়তায় মিশ্রিত করে দেবার সহজাত সংক্রমণে।
ভূগোল ইতিহাস
এই যে জটপাকানো ভূগোল ইতিহাসের ভিতর হেরম্বকে ঢুকে পড়তে হয় একধরণের বাধ্যবাধকতায়,সে ভূগোলবাহিত সময়ের কথক হয়ে উঠতে থাকে একসময়।জীবনের নিজস্ব নিয়মেই এটা ঘটে।এইসব জটপাকানো জটিলতায় হেরম্ব কি দমবন্ধ পরিবেশ পরিস্থিতির অস্বস্তিটুকু এড়িয়ে চলতে চায়;সে কি ইতিহাস ভূগোলের বাইরে খোলা বাতাসের মধ্যে আসবার তাগিদ অনুভব করে।বাধ্যবাধকতার নিঃসঙ্গতায় হেরম্ব ক্লান্ত হয় কিন্তু ক্লান্তি তাকে গ্রাস করতে পারে না,সে আবার বাধ্যবাধকতায় চলে যায়।ইতিহাসের অংশ হয়ে ভূগোলের খণ্ডাংশ হয়ে হেরম্ব নিজের মতোন এক জীবনযাপন বয়ন করতে থাকে।জীবনযাপন্টা জীবনযাপন হয়ে উঠবে কিনা সেই সংশয় গ্রাস করলেও সংশয় থেকে সে আর সংকটের দিকে কিছুতেই চলে যেতে চায় না।এটা কি তবে তার  আত্মগোপন!সে হাট হয়ে ওঠবার গোটাটাই প্রত্যক্ষ করে।হাট থেকে হাটে রাতের বনভূমি অতিক্রম করতে করতে সে প্রতিদিনের প্রতিদিন হয়ে ওঠার পর্ব-পর্বান্তর অগ্রাহ্য করে করে নির্জনতার পথে নির্জন সব সাঁকো ও শালবনের দিকে পা বাড়ায়।সে কি পলায়নের কথা ভাবে;না কি পলায়নটাই তার জন্য পূর্বনির্দিষ্ট।হেরম্ব তার জটপাকানো ইতিহাস ভূগোলের এক জীবনকে জীবনযাপনের ধরাবাঁধার সঙ্গে সংযুক্ত বিযুক্ত করতে থাকে।হয়তো এও এক বাধ্যবাধকতা;তবু সাঁকো হাট নদী নদী দিয়ে সে পুরাণ ইতিহাসের সমস্ত মিথগুলোকে উপেক্ষা করতে করতে অন্য এক মিথ ইতিহাসেরই চমকপ্রদ দৃশ্যায়ন ঘটাতে থাকে।এই পর্বে তার সঙ্গে অফুরন্ত ও জটজটিল সব স্মৃতিকাতরতা কিংবা কাতরতা থেকে চুঁইয়ে পড়া স্মতিরা নিরপেক্ষভাবেই থাকে;নিরুপায় হয়েই অথবা!


No comments:

Post a Comment